জ-তে জীবন, গ-তে গল্প
গল্প পড়তে সবারই ভাল লাগে। গল্প তো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। গল্প মানুষকে হাসায় আবার গল্পই মানুষকে কাঁদায়। তাইতো ছোটবেলা থেকেই গল্প পড়া আমার প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। তেমনি গল্প লিখতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় খাতা কলম নিয়ে বসে থাকাতেও ছিল না কোনো বিরক্তির ছাপ। আমার এখনো মনে আছে গ্রামের স্কুলে যখন ক্লাস টু তে পড়তাম তখন টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গল্পের বই কিনে পড়েছি। গল্প পড়ার প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোঁক ছিল। আর নিজেও নতুন করে গল্প লিখতে উৎসাহ পেতাম।
===============================================================
নিজের লেখা দেখে তখন আমি অনেক বিস্মৃত হয়েছিলাম। বিজ্ঞানপাঠ'র উপদেষ্টা পর্ষদে আছেন অধ্যাপক অজয় রায় স্যারের মতো দেশবরেণ্য শিক্ষক। তারপর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়। গল্প পাঠাই 'আলোকিত বাংলাদেশ' পত্রিকাতে। গাজী মনসুর আজিজ ভাই গল্প লেখাতে আমার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেন এবং শিশুতোষ গল্প লেখার প্রতি অনুপ্রাণিত করেন। দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় শিশুতোষ গল্প প্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিকগুলোতে লেখালেখি শুরু। তারপর থেকে অন্যান্য পত্রিকাগুলোতে লেখা প্রকাশিত হয়। এভাবেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আরো বাড়তে থাকে। শিশুতোষ গল্প লেখার পাশাপাশি প্রযুক্তি ও ফিচার বিষয়ে লেখার চেষ্টা করি। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় একটি পত্রিকার শিশু পাতার কয়েকটি সংখ্যার বিভাগীয় সম্পাদনা করি। তবে পড়াশুনার কারণে নিয়মিত তা করা হয়ে ওঠে না। বই করার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই। সামনে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই এবারের বইমেলায় বই করা হয়ে ওঠেনি। তবে আসছে বছর দু'টি বই বের করব সেই প্রত্যাশায় আছি।
জীবনটা খন্ড খন্ড কিছু গল্পের সমাহার। আবার গল্পটাও জীবন থেকেই সৃষ্টি। বিচিত্র এই জীবনে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন গল্প। প্রত্যেক মানুষের রয়েছে নিজের কতগুলো গল্প। সেখান থেকেই আমার লেখালেখি শুরু করার পেছনের গল্পটুকু শুনালাম। আসলে আমি এখনো পুরোপুরি গল্পকার হয়ে উঠিনি। তাই গল্পের ছলে পুরো বিষয়টিকে রসপূর্ণ করতে পারলাম না। তবে গল্পকার হওয়ার নিরন্তর সাধনা করি। লেখালেখি নিয়ে পাড়ি দিতে চাই অনেক পথ।
No comments